নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার একমাত্র অবহেলিত গ্রাম ৫নং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মালঞ্চাপাড়া গ্রাম। যে গ্রামে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

শত শত মানুষের বসবাসকৃত গ্রামে নেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা সহ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। এমনকি গ্রামটিতে প্রবেশের ছিলনা কোন রাস্তা। শত শত বছর ধরে জমির আইল দিয়ে চলাচল করতো মালঞ্চাপাড়া গ্রামের লোকজন ।

অবশেষে চলাচলের রাস্তা পেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মালঞ্চাপাড়া গ্রামবাসী। তবে কোন সরকারি সহযোগিতায় নয় ৩টি গ্রামের কয়েকজন মহৎ ব্যক্তির নিজ উদ্যোগে রাস্তাটি নির্মান হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, রাস্তা বিহীন মালঞ্চাপাড়া গ্রামবাসী চলাচলের জন্য একটি রাস্তার দাবীতে শত শত বছর ধরে জন-প্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন সহযোগীতা পাননি।

অবশেষে মালঞ্চাপাড়া গ্রামের মোজা হাজীর নেতৃত্বে গ্রামবাসী সহ এলাকাবাসী রাস্তা নির্মানের উদ্যোগ নেন। রাস্তার জন্য জমি দান করেন মালঞ্চাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোজা হাজি, আনছার হাজি, মোহাম্মাদ আলী, সলেমান আলী, রফিকুল ইসলাম, পাঁচগ্রামের বাসিন্দা মন্টু হাজী ওসমান আলী, রমজান আলী, খাদেম আলী, সিদ্দিক, দিঘীরপার গ্রামের বাসিন্দা হামেদ আলী, আলাউদ্দিন, শরিফ উদ্দিন নজরুল, আনছার, হেলাল।

পরে গ্রামবাসী নিজেরা চাঁদা তুলে সেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি নির্মান করেন। শতশত শত বছর পর রাস্তা পেয়ে আনন্দে আত্মহারা মালঞ্চাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামবাসী জানান, আজীবন জমির আইল দিয়ে চলাচল করেছি।

গ্রামের কেউ আসুস্থ্য হলে লাঠির সাহায্যে ঝুলিয়ে কান্দে করে প্রায় ২ কিলোমিটার পাড়ি দিতে হত। গ্রামটির কোন দিকে রাস্তা না থাকায় এবং গ্রামে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় শিক্ষার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে গ্রামের ছেলে মিয়েরা। কৃষির ক্ষেত্রেও কৃষকরা ছিল অনেক কস্টে।

শুধুমাত্র গ্রামের রাস্তা না থাকার কারনে সবার কাছে গ্রামটি ছিল অবহেলিত। তবে গ্রামের রাস্তাটি হওয়ায় নতুন করে গ্রামের ও গ্রামের মানুষের জীবন মান উন্নয়নের সপ্ন দেখছেন মালঞ্চাপাড়া গ্রামবাসী।

উক্ত বিষয়ে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এলাকাবাসীর নিজ উদ্যোগে রাস্তা নির্মানের পর তাদের দাবী ছিল ইউ ড্রেনের, তা নির্মান করে দিয়েছি। এছাড়াও আগামীতে উক্ত রাস্তার উন্নয়নে ইট সোলিং করা হবে বলেও জানান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।